ভর্তি তথ্য

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি, করণীয় ও দরকারি তথ্য

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও দরকারি তথ্য নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ (শুক্রবার) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে ছেলেদের ৯ টি ও মেয়েদের ৩ টি সহ মোট ১২ টি ক্যাডেট কলেজ আছে।

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ২০২৩

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ক্যাডেট কলেজ (১২টি)
শিক্ষাবর্ষ : ২০২৩ সেশন
শ্রেণি : ৭ম শ্রেণি
ক্যাডেট কলেজে আবেদনের তারিখ :১-১১-২০২২ থেকে ৭-১২-২০২২ বিকাল ৫টা
অনলাইনে আবেদনের লিংক :https://www.cadetcollege.army.mil.bd অথবা
https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd
লিখিত পরীক্ষার তারিখ :৬ জানুয়ারি ২০২৩ (শুক্রবার)
সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত
ভর্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা : ৬ষ্ঠ শ্রেণি পাস
শিক্ষার্থীর বয়স :সর্বোচ্চ ১৩ বছর ৬ মাস (১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে)
আবেদন ফি :১৬০০ টাকা
cadet college admission 2023 circular

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা যেভাবে

সাধারণত ৩টি ধাপে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা, এরপর স্বাস্থ্য ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার উর্ত্তীণ সবাই মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। আগামী ৬ জানুয়ারি ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ ক্যাডেট কলেজ ছাড়াও আরও কিছু কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন ও সময়

বিষয়নম্বর
বাংলা৬০ নম্বর
ইংরেজি১০০ নম্বর
গণিত১০০ নম্বর
সাধারণ জ্ঞান৪০ নম্বর
মোট =৩০০ নম্বর

  • ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত) তারিখ ও সময় ৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ (শুক্রবার) সকাল ৯টা-১২টা (৩ ঘন্টা)।

সাথে যা যা নেওয়া যাবে

প্রবেশপত্র ছাড়া কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। হাত ঘড়ি না নেওয়াই উত্তম। সব রুমে দেওয়াল ঘড়ি দেওয়াই থাকে। জ্যামিতি বক্স নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করা যাবে। ফাইল সাধারণত নেওয়ার দরকার হয় না।

পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি

প্রবেশপত্র, জ্যামিতি বক্স আগের রাতেই গুছিয়ে রাখতে হবে। এ সময় শীতের প্রকাপ বেশি থাকে, তাই শীতের পোষাক পরিধান করে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া উচিত। তবে এমন ভারি শীতের পোষাক পরিধান করা উচিত হবে না যাতে লিখতে সমস্যা হয়।

পরীক্ষার সময় করণীয়

  • ৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পরীক্ষা শুরু সকাল ৯টা থেকে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে সবাইকে পরীক্ষার রুমে নেওয়া হবে এবং খাতা দিয়ে দেওয়া হবে। খাতার উপর যাবতীয় তথ্য পূরণ করে, ভিতরের পৃষ্ঠাগুলো মার্জিন করতে হবে। মনে রাখতে হবে পরীক্ষার সময় মাত্র ৩ ঘণ্টা। এই নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ৩০০ নম্বরের উওর করতে হবে।
  • সবগুলো প্রশ্ন দেখে শুনে তারপর উত্তর করতে গেলে অনেক সময় নষ্ট হবে। তাই সামনে যা আসবে তার উত্তর করতে হবে। এই প্রশ্নের উওর কঠিন এটা পরে দিব এ রকম চিন্তা ভাবনা না করাই উত্তম।
  • লেখা সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে হবে। প্রশ্নে যেভাবে উত্তর চাওয়া হয়েছে সেভাবে উত্তর দিতে হবে, অতিরিক্ত কিছু লেখা যাবে না। মনে রাখতে হবে ৩ ঘণ্টায় ৩০০ নম্বরের উত্তর দিতে হবে। হাতের লেখার উপর কোন নম্বর না থাকলেও সুন্দর হাতের লেখা পরিক্ষার্থী সম্পর্কে পরীক্ষকের মনোভাব ইতিবাচক করে তোলে।

শেষ মুহূর্তের বিষয় ভিত্তিক প্রস্তুতি

বাংলা

মূল বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন পড়তে হবে। লেখক পরিচিতি সব সময় ১/২ টি প্রশ্ন থাকে। কবিতা গুলো মুখস্থ রাখতে হবে কারণ কবিতার একটি লাইন প্রশ্নে দিয়ে তার আগের বা পড়ের লাইন লিখতে বলা হয়। সারাংশ, অনুছেদ, ভাবসম্প্রসারণ প্রতিটি পরীক্ষায় থাকে, তবে এ গুলো লিখতে বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না। ব্যাকরণ অংশ থেকে এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা, সন্ধি বিচ্ছেদ, লিঙ্গান্তর, সমাস, কারক, বাক্য বা শব্দ শুদ্ধিকরণ, বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার, সাধু ও চলিত ভাষা থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।

ইংরেজি

ক্যাডেট কলেজগুলোতে ২০০৩ সাল থেকে ইংরেজি ভার্ষণে পড়া লেখা করানো হয়। তাই ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজির উপর বিশেষ নজর থাকে। ইংরেজির paragraph Story writing লেখার সময় বানানের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। প্রশ্নের শুরুতে তোমাদের text book একটি পারাগ্রাফ দেওয়া হয়। সেখান থেকে ১০/১৫ নাম্বরের উত্তর দিতে হয়। তোমাদের যদি ইংরেজি পাঠ্য বইয়ের উপর ভাল দখল থাকে তাহলে অনুচ্ছেদ না পড়েই উত্তর দিতে পারবেন। ইংরেজির Number, Gander, Tense, One word Substitution, Rights Form of verb, Idiom and phrase, preposition, transformation of sentence, voice change, group verb, comparision of words এরগুলোর উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। Tag question, WH words, Rearrange, Translation থেকেও প্রশ্ন আসে।

গণিত

গণিতে মোট নম্বর থাকে ১০০। ভালো করলে এখানে ১০০ তে ১০০ পাওয়া সম্ভব। শুধু ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত করলেই হবে না। এক্ষেত্রে ৭ম ও ৮ম শ্রেণির গণিতের মান নির্নয়, সুদ কষা, অনুপাত, ঐকিক নিয়ম, বীজগনীতিয় রাশি, সরল অংক ইত্যাদি অধ্যায়গুলো দেখে নিতে পারো। কিছু অঙ্ক এক কথায় উত্তর চাওয়া হয়, এগুলতে খুব বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। কিছু অঙ্ক রয়েছে যেগুলোতে নম্বর থাকে ২ বা ৩ এগুলোতে কিভাবে সংক্ষেপে করা যায় সেই টেকনিক শিখতে হবে। জ্যামিতি অংশ থেকে কমপক্ষে একটি উপপাদ্য বা সম্পাদ্য লিখতে হবে। এগুলো সাধারণত ৬ষ্ঠ শ্রেণির বই থেকে আসে। কোণের মান নির্নয় থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভবনা প্রায় শতভাগ। এক্ষেত্রে একান্তর কোণ, অনুরুপ কোণ , বৃত্তস্থ কোণ, সম্পূরুক কোণ সম্পর্কে ভাল ধারনা ধাকতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং সাধারণ বিজ্ঞান থেকে প্রশ্ন আসে এই অংশে। সাধারণ জ্ঞানের মোট নম্বর থাকে ৪০। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, দর্শণীয় স্থান, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশের ভৌগলিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তজাতিক প্রতিষ্ঠান, খেলাধুলা থেকে প্রশ্ন আসে হরহামেশেই। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়বালি থেকেও কিছু প্রশ্ন থাকে। কিছু প্রশ্ন যেগুলো মুখস্থ বিদ্যা থেকে উত্তর দেওয়া যায় না। যা ভেবে চিন্তা করে উত্তর দিতে হয়। ধারার পরবর্তী সংখ্যা নির্ণয়, আত্মীয়তার সম্পর্ক নির্ণয়, ব্যতিক্রম শব্দ নির্ণয় থেকেও প্রশ্ন থাকবে।

সূত্র : প্রথম আলো, ২ জানুয়ারি ২০২৩, লেখক : মোঃ আশরাফ উজ জামান

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ২০২৩ pdf

Rate this post

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!